cdbeauty

নিশীথার প্রেম

  • Written By : Rita Braganza
  • Story Type : Crossdressing, Male to Female Transformation, Self-Love, Love Making, Shemale in Love With Boy,  Love has No Colour
  • Image Courtsey : Ai 

আমি নিশীথার সঙ্গে প্রথম দেখা করি এক সন্ধ্যায়, শহরের এক অভিজাত রেস্টুরেন্টে। আমি এক কোণে বসে কফির কাপ হাতে নিয়েছিলাম, আর তখনই ওকে প্রথম দেখি। নিশীথা যেন এক অন্য জগতের নারী—দামি নীল রঙের সিল্কের শাড়িতে মোড়ানো, টিকালো নাক, গভীর কালো চোখ, গোলাপি ঠোঁট, আর চুলগুলো এলোমেলোভাবে খোলা, যেন এক পূর্ণিমার রাতের আলো ছড়িয়ে পড়েছে। ওর শরীরের প্রতিটি ভঙ্গিমায় ছিল এক সম্মোহনী শক্তি, এক অসাধারণ আত্মবিশ্বাস। আমি অবাক হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে ছিলাম, যেন চোখ সরিয়ে নিতে পারছিলাম না। হঠাৎ করেই আমাদের চোখাচোখি হয়ে গেল, আমি দ্রুত চোখ সরিয়ে নিলাম, যেন ধরা পড়ে গেছি কোনো গোপন আকাঙ্ক্ষায়। কিন্তু নিশীথা হাল ছাড়ার মেয়ে নয়, ও সরাসরি আমার দিকে এগিয়ে এল। আমি তখন একটু অপ্রস্তুত, ভাবছিলাম কী বলতে পারে ও! নিশীথা হাসিমুখে আমার সামনে দাঁড়িয়ে বলল, “তুমি এতক্ষণ ধরে আমায় দেখছো, কিন্তু একবারও এসে কথা বললে না! এত লাজুক হলে কীভাবে চলবে?” আমি একটু হেসে বললাম, “আমি আসলে… এমনি… তুমি খুব সুন্দর দেখতে…” কথাটা শেষ করতে পারলাম না, নিশীথা নিজের হাতে এক কাপ কফি নিয়ে আমার সামনের চেয়ারে বসে পড়ল, বলল, “তাহলে চল, সুন্দর মানুষের সঙ্গে সুন্দর একটা সন্ধ্যা কাটানো যাক।” ওর স্বাভাবিক আত্মবিশ্বাস আর হাসির মধ্যে এমন একটা শক্তি ছিল, যেটা আমাকে মুগ্ধ করেছিল। আমরা গল্প করতে শুরু করলাম, আর ধীরে ধীরে একে অপরের মনের অনেক গোপন অনুভূতির সঙ্গে পরিচিত হলাম। আমরা আবিষ্কার করলাম, আমাদের অনুভূতিগুলো অনেকটা একইরকম—আমি যেমন ভিতরে ভিতরে এক অন্যরকম জীবনযাপনের স্বপ্ন দেখতাম, নিশীথাও তেমনি সমাজের বাধা ভেঙে নিজের মতো করে বাঁচতে চাইত। আমি ওর আত্মবিশ্বাসে মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছিলাম, আর ও আমার লজ্জাশীলতাকে উপভোগ করছিল। কথা বলতে বলতে কখন যে সময় কেটে গেল, বুঝতেই পারলাম না। রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে আমরা দু’জনই একসঙ্গে হাঁটতে লাগলাম, মনে হচ্ছিল যেন অনেক বছর ধরে একে অপরকে চিনি। বিদায় নেওয়ার সময় ওর চোখের গভীরতায় হারিয়ে গিয়েছিলাম, ওর ঠোঁটে এক রহস্যময় হাসি খেলা করছিল। ওর নম্বরটা হাতে দেওয়ার সময় বলল, “তুমি যদি সত্যিই আমাকে আবার দেখতে চাও, তাহলে প্রথম মেসেজটা তোমাকেই পাঠাতে হবে।” আমি শুধু মাথা নাড়লাম, কিন্তু মনে মনে জানতাম—এই সম্পর্কটা এখানেই শেষ হওয়ার নয়। সেই রাতেই আমি ওকে মেসেজ পাঠালাম, আর তখন থেকেই শুরু হলো আমাদের এক নতুন অধ্যায়, এক নতুন যাত্রা, যেখানে শুধু আমাদের দু’জনের অনুভূতি আর গোপন ইচ্ছেগুলো ছিল।

 

আমাদের গল্পটা যেন স্বপ্নের মতো এগিয়ে যাচ্ছিল। প্রথমদিকে আমরা কেবল সময় কাটাতাম, একসঙ্গে বসে কফি খেতাম, রাস্তায় aimless হাঁটতাম, ছোটখাটো বিষয় নিয়ে হাসাহাসি করতাম। কিন্তু ধীরে ধীরে আমাদের সম্পর্কটা আরও গভীর হতে শুরু করল। ওর পাশে থাকাটা আমার কাছে এক অদ্ভুত শান্তির অনুভূতি এনে দিত। একদিন সন্ধ্যায়, যখন ঠান্ডা বাতাস বইছিল, আমি ওকে আলতো করে জড়িয়ে ধরলাম, ওর কাঁধে মাথা রাখলাম। নিশীথা প্রথমে চুপ করে ছিল, তারপর ধীরে ধীরে ওর আঙুল আমার আঙুলে জড়িয়ে নিল। আমি ওর কানে কানে একটা মিষ্টি গান গেয়ে উঠলাম, ওর হাসিটা আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠল। ও আমাকে বলল, “তুমি জানো, তোমার গান শুনলেই আমার মন শান্ত হয়ে যায়!” সেই মুহূর্ত থেকে আমরা একসঙ্গে আরও বেশি সময় কাটাতে লাগলাম, নতুন নতুন জায়গায় ঘুরতে গেলাম, পাহাড়ি রাস্তায় হাত ধরে হাঁটলাম, নদীর ধারে বসে দু’জনেই নিরবতা উপভোগ করলাম।

একদিন আমরা একসঙ্গে এক গার্মেন্টস স্টোরে গেলাম, ওর জন্য নতুন কিছু জামাকাপড় কিনতে। ও বিভিন্ন পোশাক দেখে আমার মতামত চাইছিল, আর আমি মজা করে বলছিলাম, “তুমি যা-ই পরো, তোমাকে সবকিছুতেই অসাধারণ দেখায়!” ও হাসছিল, কিন্তু হঠাৎ ওর চোখ পড়ল কিছু লিংজেরি আর নরম সিল্কের ড্রেসের দিকে। ও আমাকে বলল, “এগুলো কেমন লাগছে?” আমি একটু লজ্জা পেয়ে গেলাম, কিন্তু সত্যি বলতে, আমি ওইসব পোশাক নিয়ে কৌতূহলী ছিলাম। আমি মৃদু হেসে বললাম, “এগুলো বেশ সুন্দর, যদি কেউ এগুলো পরে নিজের মতো করে উপভোগ করতে পারে…” ও আমার দিকে তাকিয়ে রইল, যেন আমার চোখের ভাষা পড়তে চাইছিল। আমি বুঝলাম, আমি আসলে আমার একটা লুকানো ইচ্ছা কিছুটা হলেও প্রকাশ করে ফেলেছি—crossdressing-এর প্রতি আমার আগ্রহ। নিশীথা কিছুক্ষণ কিছু বলল না, শুধু একরকম রোমান্টিক হাসি দিল, তারপর সামনে এগিয়ে এসে আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরল। ওর ঠোঁট আমার কানের কাছে গিয়ে ফিসফিস করে বলল, “আমি একদিন তোমার এই স্বপ্নটা পূরণ করব…” আমি অবাক হয়ে গেলাম, কিন্তু ওর কণ্ঠে ছিল এক আশ্বাস, এক গভীর ভালোবাসার ছোঁয়া। সেই মুহূর্তে আমি অনুভব করলাম, নিশীথা শুধু আমার ভালোবাসা নয়, আমার সবচেয়ে বড় বিশ্বাসযোগ্য মানুষ, যে আমার প্রতিটা ইচ্ছা, প্রতিটা কল্পনা বুঝতে পারে, গ্রহণ করতে পারে। সেই রাতটা যেন আরও বিশেষ হয়ে উঠল, কারণ আমরা একে অপরকে আরও গভীরভাবে বুঝতে শুরু করেছিলাম, আর আমাদের সম্পর্কটা নতুন এক মাত্রা পেল।

আমি তখন বাথরুমে একদম নির্ভাবনায় গোসল করছিলাম, পানির ধারা গড়িয়ে পড়ছিল শরীর বেয়ে। হঠাৎ করেই দরজা খোলার আওয়াজ পেলাম, এবং মুহূর্তের মধ্যেই নিশীথা ভেতরে ঢুকে গেল! এক সেকেন্ডের জন্য ও একদম থমকে গেল, বড় বড় চোখে আমার পুরো নগ্ন শরীরের দিকে তাকিয়ে। তারপরই চমকে উঠে চিৎকার করে বলল, “তুমি দরজা বন্ধ করোনি কেন?! ছি!”

আমি অপ্রস্তুত হয়ে দ্রুত তোয়ালে জড়িয়ে নিলাম, আর ও হাত দিয়ে মুখ ঢেকে ফেলল, যদিও চোখের কোণ দিয়ে লুকিয়ে দেখছিল! আমি হেসে বললাম, “তুমিই তো হুট করে ঢুকে পড়লে!” ও রাগ দেখালেও চোখে ছিল এক অদ্ভুত দুষ্টুমি। আমি গোসল শেষ করে বেরিয়ে আসতেই ও আমার দিকে এল, মুখটা মিষ্টি একটা অভিমানে ফুলিয়ে বলল, “সরি… আমি জানতাম না…”

আমি হাসতে হাসতে ওকে টেনে জড়িয়ে ধরলাম। কিন্তু ও তখন একেবারে বাচ্চা মেয়ের মতো লজ্জা পেয়ে আমার বুকে মুখ লুকিয়ে নিল। তারপর আস্তে আস্তে ওর হাত আমার পিঠের উপর বোলাতে লাগল, গলাটা হালকা করে ফিসফিসিয়ে বলল, “কিন্তু একটা কথা বলো, আমি তো তোমাকে পুরো দেখেছি… সব কিছু…” ওর কণ্ঠে দুষ্টুমি আর রহস্যময় উষ্ণতা। আমি চুপ করে ওর চোখের দিকে তাকাতেই ও কামুকভাবে হাসল, আঙুলটা আমার ঠোঁটের উপর রেখে বলল, “আমি তোমাকে সুখী করব, খুব খুব সুখী…” ওর কথার গভীরতা আর স্পর্শের উত্তাপে আমার দেহে এক অদ্ভুত শিহরণ খেলে গেল…

আমি ওর চোখের গভীরে তাকিয়ে হাসলাম আর আস্তে করে বললাম, “আমি যা কিছু নিয়ে জন্মেছি, তুমিও তো তাই নিয়ে জন্মেছ… তাহলে এত অবাক হওয়ার কী আছে?”

ও আমার কথায় এক মুহূর্ত থমকে গেল, তারপর দুষ্টুমি মাখা চোখে আমার দিকে এগিয়ে এল, আর হঠাৎ করেই কোমল ঠোঁট দিয়ে আমার বুকের উপর কামড় বসিয়ে দিল! আমি শিহরিত হয়ে উঠলাম, ওর কাণ্ডে একদিকে অবাক, অন্যদিকে অদ্ভুত এক উত্তেজনায়। ও ধীরে ধীরে আমার আলিঙ্গন থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছিল, কিন্তু আমি শক্ত করে ওকে ধরে বললাম, “না, তোমাকে আমি যেতে দেব না…”

ও কাঁপা কাঁপা গলায় ফিসফিস করে বলল, “প্লিজ… আমি লজ্জা পাচ্ছি…” ওর গাল দুটো লাল হয়ে উঠেছে, নিঃশ্বাস ভারী হয়ে গেছে। আমি ওর কপালে আলতো করে একটা গভীর চুমু খেলাম। ও তখন আর কিছু বলল না, শুধু নিঃশব্দে আমার বুকে মুখ গুঁজে দিল, শক্ত করে আমাকে জড়িয়ে ধরল… যেন আমিই ওর সমস্ত পৃথিবী…

 

আমার একটা গোপন ইচ্ছা  ছিল—আমি নারীদের পোশাক পরতে পছন্দ করতাম। তবে এই সত্য আমি কখনো কারও সামনে প্রকাশ করিনি। সমাজের ভয়, লজ্জা সব মিলিয়ে আমি নিজের এই আকাঙ্ক্ষাকে সবসময় গোপন রেখেছিলাম। কিন্তু আমার জীবনে নিশীথার আগমন সব কিছু বদলে দিল।

নিশীথা ছিল আত্মবিশ্বাসী, রহস্যময়ী এবং অসম্ভব রকমের আকর্ষণীয়। ও জানত কীভাবে আমাকে বোঝাতে হয়, কীভাবে আমাকে আমার সত্যিকারের চেহারার সামনে দাঁড় করাতে হয়। ও প্রথম থেকেই বুঝে গিয়েছিল যে আমি নারীদের পোশাকের প্রতি দুর্বল।

একদিন সন্ধ্যায় ও আমাকে ফোন করে বলল, “আজ একটু আগে চলে এসো, তোমার জন্য একটা বিশেষ সারপ্রাইজ আছে।” আমি কিছুটা কৌতূহলী হয়ে ওর ফ্ল্যাটে পৌঁছলাম। দরজা খুলতেই দেখি, রুমটা হালকা রোমান্টিক লাইটে সাজানো, বিছানায় কয়েকটা রঙিন শাড়ি, ক্রপটপ, স্কার্ট আর একজোড়া কালো লেসের স্টকিংস রাখা।

আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, “নিশী, এটা কী?”

ও মুচকি হেসে আমার সামনে এসে দাঁড়াল, তারপর আমার গালে আলতো করে হাত রেখে বলল, “আমি জানি তুমি কতদিন ধরে এই স্বপ্ন লুকিয়ে রেখেছো। আজ আমি তোমার সেই স্বপ্ন পূরণ করব। তুমি আমার সামনে তোমার সত্যিকারের রূপে আসবে।”

আমি একটু ইতস্তত করছিলাম। বললাম, “আমি কীভাবে পরব? এটা তো লজ্জার ব্যাপার।”

নিশীথা এক ধাক্কায় আমাকে বিছানায় বসিয়ে দিল, তারপর আমার শার্টের বোতাম খুলতে লাগল। আমি বাধা দিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু ও আমার ঠোঁটে আঙুল রেখে বলল, “কোনো কথা নয়, শুধু উপভোগ করো। আজ আমি তোমাকে তোমার নতুন রূপে সাজিয়ে দেব।”

ও প্রথমে একটা লাল রঙের সিল্কের শাড়ি নিল, যেটার ওপর সোনালী জরির কাজ করা ছিল। আমি শাড়িটা ধরতেই ও বলল, “এটা আজ তোমার জন্য, কিন্তু শুধু শাড়ি নয়, পুরো সাজটাই আমি দেব।”

ও নিজেও একটা ডিপ ব্লু রঙের শাড়ি পরে নিল, সাথে ম্যাচিং ব্লাউজ। তারপর আমার দিকে তাকিয়ে বলল, “চলো, একসঙ্গে সাজি।”

আমি লজ্জায় কিছু বলতে পারছিলাম না। নিশীথা হাসল, তারপর ধীরে ধীরে আমার টি-শার্ট খুলে দিল। আমি শিহরিত হয়ে পড়লাম। তারপর ও একটা কালো ক্রপটপ তুলে এনে আমার সামনে ধরল। আমি অস্বস্তিতে মাথা নাড়লাম, “আমি কি সত্যিই পরব?”

ও কিছু না বলে আমার ঠোঁটে গভীর চুমু খেল। আমি যেন সম্পূর্ণ গলে গেলাম ওর স্পর্শে। তারপর আমার কানে ফিসফিস করে বলল, “ভালোবাসায় কোনো লজ্জা নেই, শুধু অনুভূতি আছে। আমি চাই তুমি আজ সম্পূর্ণ আমার হয়ে যাও, তোমার সেই লুকানো স্বত্বাকে প্রকাশ করো।”

আমি অবাক হয়ে ওর চোখের দিকে তাকিয়ে ছিলাম, ওর ঠোঁটের কোণে দুষ্টু হাসি। ধীরে ধীরে ও নিজের জামা খুলে একটা সুন্দর লেসের প্যাডেড ব্রা পরে নিল, আর আমায় বলল, “তোমারটারও এবার সময় হয়েছে!” আমি লজ্জায় কিছু বলতে পারছিলাম না, কিন্তু ওর হাতের ছোঁয়ায় শরীর যেন গলে যাচ্ছিল।

ও আমার দিকে একটা কোমল গোলাপি ব্রা বাড়িয়ে দিল, আমি ধীরে ধীরে পরে নিলাম। ওর চোখের উজ্জ্বলতা যেন আরও বেড়ে গেল, তারপর ও নিজেই একটা সিল্কি প্যান্টি পড়ে নিল আর আমায়ও একটা নরম লেসের প্যান্টি পরিয়ে দিল। আমি লজ্জায় একটু কুঁকড়ে গেলেও ও আমাকে আয়নার সামনে দাঁড় করিয়ে বলল, “দেখো, কতো সুন্দর লাগছে!”

তারপর ও নিজের সুন্দর কালো স্টকিংস পরে নিল, ধীরে ধীরে আমার পায়ের দিকেও একজোড়া ট্রান্সপারেন্ট স্টকিংস তুলে দিল। আমি শিহরিত হয়ে ওর দিকে তাকালাম, ওর স্পর্শে যেন রোমাঞ্চ অনুভব করছিলাম। এরপর ও নিজের জন্য একটা শর্ট স্কার্ট পরে নিল, তারপর আমাকেও একটা কিউট স্কার্ট পরিয়ে দিল, সঙ্গে একটা প্যান্টিহোস।

 

ও আমার হাত ধরে কানে বড় রূপোর দুল পরিয়ে দিল, হাতে চুড়ি, পায়ে নূপুর। তারপর লিপস্টিক হাতে নিয়ে বলল, “এটা ছাড়া সাজ অসম্পূর্ণ।” আমি একটু পিছিয়ে যেতেই ও আমার ঠোঁটে আরও একবার গভীর চুমু খেল, তারপর নিজে হাতে আমার ঠোঁটে লাল লিপস্টিক লাগিয়ে দিল।

তারপর ওর হাত ধরে আমি যখন বিছানায় বসলাম, নিশীথা ধীরে ধীরে আমার কাঁধে চুমু দিতে লাগল। ওর হাত আমার শরীর বেয়ে নামছিল, আমি কাঁপছিলাম ওর উষ্ণ স্পর্শে। ও আমার কোমরে হাত বোলাতে বোলাতে ফিসফিস করে বলল, “তুমি এখন আমার রাজকন্যা, আমার রাণী।”

আমি নিশ্বাস আটকে ওর আলতো স্পর্শ উপভোগ করছিলাম, আর ও ক্রমশ গভীরে যেতে লাগল। ওর ঠোঁট আমার গলার কাছে, আমার বুকের চারপাশে ঘুরছিল। আমি শিহরিত হচ্ছিলাম, কাঁপছিলাম উত্তেজনায়। ও ধীরে ধীরে আমার শরীরের প্রতিটি অংশ আবিষ্কার করছিল, যেন প্রথমবার আমার সৌন্দর্যের স্বাদ নিচ্ছে।

আমি ধীরে ধীরে নিশীথার ভালোবাসায় ডুবে যাচ্ছিলাম। ওর প্রতিটি স্পর্শ, প্রতিটি চুম্বন আমাকে এক নতুন জগতে নিয়ে যাচ্ছিল। নিশীথার হাত আমার স্কার্টের ভেতরে ঢুকে পড়ল, আমি একটু কেঁপে উঠলাম। ওর চোখে এক অদ্ভুত খিদে ছিল, আমি ওর দিকে তাকিয়ে শুধু হাসলাম। আমি জানতাম, আজ রাতে আমি সম্পূর্ণভাবে ওর হবো।

সেই রাতে আমাদের মধ্যে ভালোবাসার সমস্ত বাঁধন খুলে গিয়েছিল। নিশীথা শুধু আমাকে সাজিয়ে দেয়নি, ও আমাকে আমার সত্যিকারের রূপে গ্রহণ করেছিল। আমি অনুভব করলাম, সত্যিকারের ভালোবাসা এমনই হয়—যেখানে কোনো লজ্জা নেই, যেখানে শুধু অনুভূতির প্রবাহ আছে।

সকালে ঘুম ভাঙতেই দেখি, নিশীথা আমার পাশে শুয়ে আছে, এক হাত আমার কোমর জড়িয়ে। আমি তখনও  ও স্কার্ট পরা অবস্থায়, আমার লিপস্টিক একটু মুছে গেছে, কিন্তু নিশীথার চোখে ছিল গভীর মুগ্ধতা। ও আমার কপালে আলতো করে চুমু খেয়ে বলল, “তুমি অসাধারণ সুন্দর, সুমন। আমার কাছে তুমি সব রূপেই অপূর্ব।”

আমি ওর চোখের দিকে তাকিয়ে বললাম, “ধন্যবাদ নিশী, তুমি আমাকে আমার সত্যিকারের রূপে প্রকাশ করতে সাহায্য করলে। আমি কখনোই এতটা সুখী হইনি।”

ও হাসল, তারপর বলল, “এটা তো শুধু শুরু, আরও অনেক রাত আসবে যেখানে আমরা একসঙ্গে হারিয়ে যাবো। তুমি আর আমি, আমাদের এই গোপন জগৎ, যেখানে শুধু ভালোবাসা আছে।”

আমাদের গল্প এখানেই শেষ হয়নি। বরং, এটাই ছিল আমাদের ভালোবাসার যাত্রার শুরু। নিশীথার প্রেমে আমি শুধু হারাইনি, আমি আমার সত্যিকারের পরিচয় খুঁজে পেয়েছি।

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *