cdbeauty

মা , আমি ও আমাদের বান্ধবী - ১ম পর্ব

  • Written By : Rita Braganza
  • Story Type : Crossdressing, Male to Female Transformation, Self-Love, Boy In Saree, Transformation, Way of living, Femdom
  • Image Courtsey : ai

অর্ণবের বয়স এখন ২২ । কলেজে পড়ে, বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়, গেম খেলে—বাইরে থেকে দেখতে একদম সাধারণ একজন ছেলে। কিন্তু তার মনের গভীরে লুকিয়ে আছে এক অদ্ভুত, রোমাঞ্চকর ইচ্ছা—সে গোপনে মেয়েদের পোশাক পরতে ভালোবাসে! কখনো মায়ের শাড়ি, কখনো বোনের জিন্স চুরি করে আড়ালে পরত সে, নিজের রুমের দরজা বন্ধ করে দীর্ঘক্ষণ আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে থাকত, মেয়েদের মতো পোজ দিত, হাসত, এমনকি চুপিচুপি মায়ের লিপস্টিকও ট্রাই করত! একদিন সে তার ডায়েরিতে মেয়েদের সেক্সি লিঙ্গেরি, হাই হিল জুতো, এমনকি নিজেকে মেকআপ করা অবস্থায় স্কেচ আঁকল—সেই স্কেচগুলো ছিল এতটাই বাস্তবসম্মত যে কেউ দেখলে সহজেই বুঝতে পারত এটা শুধু শখের বাইরে গিয়ে একটা গভীর ইচ্ছা। আর ঠিক সেই ভুলটাই ঘটল যখন এক বিকেলে তার মা, মধুরিমা, রুম পরিষ্কার করতে গিয়ে অজান্তেই সেই ডায়েরিটি খুলে ফেললেন! প্রথমে তিনি চোখে বিশ্বাসই করতে পারলেন না—তার আদরের ছেলে, যাকে সে এতদিন শুধু প্যান্ট-শার্টেই দেখেছে, সেই ছেলে এত সুন্দর করে মেয়েদের পোশাকের ডিজাইন আঁকছে? মধুরিমা প্রথমে ভয় পেয়ে গেলেন, তারপর এক অদ্ভুত কৌতূহল তাকে গ্রাস করল—”আমার ছেলে যদি সত্যিই এটা উপভোগ করে? যদি এটা তাকে সুখী করে?” তিনি ডায়েরিটি আগের মতো রেখে দিলেন, কিন্তু মনেই একটা পরিকল্পনা করে ফেললেন—তিনি অর্ণবের এই গোপন ইচ্ছাকে আরও বড় করে দেবেন, তাকে সাহায্য করবেন, এমনকি তাকে নিজের হাতে সাজিয়েও গড়বেন! মায়ের মনে তখন এক অদ্ভুত উত্তেজনা—সে ভাবল, “আমার ছেলে যদি মেয়ে হয়ে থাকে, তাহলে আমি তাকে সবচেয়ে সুন্দর মেয়ে বানাব!” এই ভাবনা তাকে এতটাই উচ্ছ্বসিত করে তুলল যে তিনি তখনই ঠিক করলেন, কালই তিনি অর্ণবকে নিয়ে শপিংয়ে যাবেন, তাকে নিজের হাতে বেছে বেছে সাজগোজের জিনিস কিনে দেবেন—লিঙ্গেরি থেকে শুরু করে স্যান্ডেল, মেকআপ থেকে শুরু করে গহনা—একটা কিছু বাদ যাবে না! মায়ের চোখে তখন এক অদ্ভুত দীপ্তি—সে যেন নিজের মেয়েকে নিয়ে শপিং করতে যাচ্ছে, যে মেয়েটা এতদিন গোপনে লুকিয়ে ছিল, আজ তাকে সে আলোর মুখ দেখাবে!

 

সেদিন বিকেলবেলা, মধুরিমা অর্ণবকে বললেন, “আজকে তোকে আমার সাথে শপিং-এ যেতেই হবে!” অর্ণব প্রথমে চমকে উঠল, “কেন মা? আমার তো নতুন জামা-কাপড়ের দরকার নেই!” মা চোখ টিপে হাসলেন, “তোর জন্য না, তুই যা চাস, তাই কিনব আজ!” অর্ণবের গালে তখন লাল আভা—মা কি আসলেই সব জানেন? মলের ভেতরে ঢুকতেই মা অর্ণবকে টেনে নিয়ে গেলেন এক সুন্দরী সেলেসগার্লের সামনে। মধুরিমা আত্মবিশ্বাসী গলায় বললেন, “আমরা কিছু লেডিসওয়্যার দেখতে চাই!” সেলেসগার্ল, রিয়া, হাসিমুখে জিজ্ঞেস করল, **”কাকে নিয়ে এসেছেন ম্যাডাম? মা একটু ইশারায় বললেন,  আমার ছেলে… কিন্তু সে মেয়েদের পোশাক পছন্দ করে!”  রিয়া একটু থমকে গেল, তারপর আবার হাসল, “ওহ! তাহলে তো খুব মজার শপিং হবে!” রিয়া অর্ণবের দিকে তাকিয়ে বলল, “তোমার ফিগারটা বেশ ভালো, লাইট পিংক বা ল্যাভেন্ডার কালার তোমাকে সুট করবে!” অর্ণব লজ্জায় মুখ ঘুরিয়ে নিল। মা খুশি হয়ে বললেন, “আমিও তাই ভাবছিলাম! আর হ্যাঁ, একটু সেক্সি লিঙ্গেরি দরকার—কিছু প্যাডেড ব্রা, থং… ওকে সম্পূর্ণ মেয়েলি লুক দিতে হবে!” রিয়া মায়ের কথায় সম্মতি জানিয়ে বলল, “আপনার ছেলে খুব লাকি, আপনার মতো মা পেয়েছে!” শপিং করতে করতে মা হঠাৎ রিয়াকে বললেন, “তুমি তো খুব সুন্দর করে সব বাছাই করছ, একদিন আমাদের বাড়িতে এসো না? তিনজনে ভালো করে আড্ডা দেওয়া যাবে, আমরা কাছেই থাকি, আমার স্বামী চাকরি সূত্রে বাইরে থাকেন, আমাদের বাড়ি বেশ শান্ত পরিবেশে, তোমার ভালো লাগবে। আমরাও খুশি হবো খুব। রিয়া উৎসাহিত হয়ে বলল, “নিশ্চয়ই ম্যাডাম! আমি খুব খুশি হব!” অর্ণবের কান তখন টকটকে লাল—সেলেসগার্ল তাদের বাড়িতে আসবে? শপিং শেষে বিল দিতে গিয়ে রিয়া অর্ণবের মায়ের হাত ধরে বলল, “আপনি আসলেই অসাধারণ মা!” তারপর অর্ণবের দিকে তাকিয়ে হাসল, “তোমার সাহস দেখে আমি মুগ্ধ!” বলেই সে অর্ণবের গালে একটি হালকা চুমু দিল! অর্ণবের মনে হচ্ছিল সে এখনই মাটিতে মিশে যাবে, কিন্তু মা শুধু হাসলেন, “ধন্যবাদ রিয়া! তুমি আমাদের অনেক সাহায্য করেছ!” আচ্ছা ম্যাডাম একটা কথা বলবো যদি কিছু মনে না করেন ? রিয়া বললো। অর্ণবের মা বলল হ্যা নিশ্চই, বলো।  রিয়া বললো আচ্ছা এরকম যদি একটা সুন্দর মুহূর্ত আমরা তিনজন একসাথে কাটাই যেখানে আমরা তিনজনই খুব করে সেজে এনজয় করবো, কোথাও ঘুরতে যাবো সারাদিন ঘুরবো , বিভিন্ন জায়গায়, আমার নিজের গাড়ি আছে, সত্যি বলতে আমি এই দোকানের মালিক, সেলসগার্ল  নয়। আমারও একটা সুন্দর বন্ধুত্ব হবে অর্ণবের সাথে , আর আমিও কখনো কখনো আপনাদের সাথে সুন্দর মুহূর্তের সাক্ষী থাকবো।  যদি আপনারা রাজি থাকেন আমিও আপনাদের সাথে যুক্ত হতে চাই , এত্ত সুন্দর একটা মা ছেলের ভালোবাসার সম্পর্ক সবাই তো পায় না।  মধুরিমা হাসি মুখে রিয়াকে জড়িয়ে ধরে বললো অবশ্যই এস , খুব ভালো একটা সম্পর্ক হোক আমিও চাই, আমরাও এবার থেকে সবকিছু তোমার থেকেই নেবো।  অর্ণব কে বললো কিরে পছন্দ হয়েছে তো নতুন  বান্ধবীকে ? অর্ণব লজ্জায় লাল হয়ে গেলো , বললো মা চলো না এবার।  বাড়ি ফেরার পথে মা অর্ণবের হাত ধরে বললেন, “দেখলি তো? সবাই তোকে সাপোর্ট করছে! রিয়াও তোকে পছন্দ করেছে!” অর্ণব মায়ের দিকে তাকিয়ে হাসল, “হ্যাঁ মা… তুমি সত্যিই সবচেয়ে দারুণ!” মা আদর করে তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন, “এখন তুই যখন ইচ্ছা সাজতে পারবি, আমরা আছি তোর সাথে।  কিন্তু একটা গন্ডগোল হলো, রিয়ায় নম্বরটা নেওয়া হয়নি।  তুই নিয়ে আয়তো।  আমি অপেক্ষা করছি বাইরে।”  অর্ণব লজ্জা পেয়ে বললো তুমি চলো সঙ্গে , মধুরিমা বললো “দেখ , এবার বকা খাবি। যাহ গিয়ে নিয়ে আয়।”  অর্ণব মন খারাপ করে চলে গেলো নম্বর আনতে, রিয়ার দোকানের ভিতর এসে বললো “এক্স কিউস মি” , রিয়া বললো “হ্যা বল।” অর্ণব বললো “আপনার নম্বর টা দেবেন ? মা নিচে দাঁড়িয়ে আছে , আপনার নম্বরটা আনতে পাঠালেন।”  রিয়া অর্ণবের কাছে এসে একটা কার্ড দিয়ে বললো ” আমার বিসনেস কার্ড , এখানে আমার নম্বর আছে , নাও।” তারপর রিয়া হেসে বললো ” তোমার মা যেসব ড্রেস কিনেছেন , সবগুলো পরবে, খুব সুন্দর লাগবে , আর শোনো দুই একটা উইগ কিনে রেখো , নাহলে ভালো লাগবে না , আচ্ছা তুমি চিন্তা করোনা , আমি তোমার বাড়িতে এসে তোমাকে একটা উপহার দেব , নতুন বন্ধু বলে কথা , আমার সাথে সাজতে হবে কিন্তু , আমি কিন্তু খুব খুশি তোমাকে  পেয়ে।”  বলেই অর্ণবের হাত ধরে টেনে নিয়ে আরেকটা চুমু খেলো , তারপরেই মুচকি হেসে বললো “মা নিচে অপেক্ষা করছেন।”  অর্ণব খুব লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে চলে আসতে গিয়েও দরজার সামনে এসে থমকে দাঁড়ালো , পিছনে ফিরে রিয়া কে বললো  ” কানে মাঝারি গোল গোল রিং , আর হলুদ শাড়ি পরলে তোমাকে সেই লাগবে”। বলেই বেরিয়ে চলে আসলো।  এসে মাকে বিসনেস কার্ড টা দিয়ে বললো “চলো এবার ফেরা যাক,” মা হেসে বললো “কি বললো তোকে নতুন বান্ধবী” ? অর্ণব বললো “কিছু না , চুমু দিয়েছে “।

  

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *